ভোটের মুখে এবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নোটিস পাঠাল আয়কর দপ্তর (Income Tax Department)। অভিযোগ, হিসাব বহির্ভূত এবং আয়ের অধিক সম্পত্তি থাকার জন্য তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। নোটিসে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাঁর সম্পত্তি, ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য ও আয় সম্পর্কিত নথি জমা করতে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর পাশাপাশি তাঁর ৪ জন আত্মীয়কেও নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। যদিও, আয়কর দপ্তরের নোটিস এখনও পাননি বলে দাবি করেছেন অনুব্রত বাবু।
আট দফায় ভোটের মধ্যে ছয় দফার ভোট শেষ, বাকি আরও দু'দফা। আর তার মধ্যেই অনুব্রত বাবুর নোটিস দলের কাছে উদ্বেগের। কার্যত কিছুদিন আগেও নির্বাচন কমিশনের শোকজের মুখে পড়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার ভোটের মুখে ফের আয়কর দপ্তরের নোটিস। আয়কর দপ্তর সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি এবং তাঁর আয়ের হিসেবে গরমিল নিয়ে মাস দুয়েক আগে একটি অভিযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। আর এই তদন্তের সাপেক্ষেই মূলত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এমনকি আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে।
আয়কর দপ্তরের আরও দাবি, বীরভূমের পাশাপাশি আসানসোল, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতেও হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। নিজের হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির মালিকানা আত্মীয়দের নামেই ট্রান্সফার করতেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। আগামী ২৯ তারিখ বীরভূমের সব আসনে নির্বাচন, আর তার আগেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির নামে এমন অভিযোগ কী কোনও ভাবে প্রভাব ফেলবে বীরভূমবাসীর কাছে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও এখনও অবদি অনুব্রতবাবু এই নোটিসের প্রাপ্তি স্বীকার করেননি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, তৃণমূল আগে থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে। এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, ভোটের আগে ইডি (ED), সিবিআই (CBI) বা এনআইএ’র সক্রিয় হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। তবে তাতে লাভ কিছুই হল না, বরং কয়লা পাচার থেকে সারদা, কোকেন ইস্যু এমনকি বেহিসেবী সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে একের পর এক বিতর্কে জড়াতে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।