শুধু নামেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যপরিসেবা একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের জানলা দরজা সবকিছু ভাঙ্গা। শুধু একজন চোখের চিকিৎসক দিয়ে একটি পুরো স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে। এরকমটাই ঘটল কুলতলির কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষেত্রে। সন্ধ্যা হলেই ঐ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মদের আসর বসে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষকে পরিষেবা পেতে হলে ছুটতে হয় ১৪ কিলোমিটার দূরে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা নিয়ে বর্তমানে বেশ ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
কুলতলির গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের অধীনে ১০ থেকে ১২ বিঘা জমির উপরে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র দাঁড়িয়ে আছে। কৈখালী, শান কি জাহান, গরান কাঠি সহ আরো বেশ কিছু অঞ্চল এর কয়েক হাজার মানুষকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। কিন্তু, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন রোগী আসেন না। শুধুমাত্র একজন গ্রুপ-ডি কর্মী দেখাশোনা করছেন। প্রতি মঙ্গলবার এবং শুক্রবার একজন চোখের চিকিৎসক আসেন। প্রথমদিকে দুজন করে নার্স থাকলেও এখন নার্সের সংখ্যা কমে এক, তাও আসেন শুধুমাত্র সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম আছে কোনো এম্বুলেন্স, না কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাকে নিয়ে অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
একজন কর্মী বললেন, কিছু বছর আগে চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু একজন অবসর নেওয়ার পরে এই কঙ্কালসার চেহারা হয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। বারংবার গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বিডিও বিরেন্দ্র অধিকারি বলেছেন, আমি নিজে কেন্দ্রটির অবস্থা দেখে স্বাস্থ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি।