করোনার দুটি ডোজ প্রাপ্ত হয়েছেন এমন রাজ্যবাসীর সংখ্যা পেরোলো এক কোটি। এবং এরই সাথে তাৎপর্যপূর্ণ এটাও যে রাজ্যে টিকাকরণ শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত গতদিন অর্থাৎ সোমবারই হয়েছে সর্বাধিক টিকাকরণ। এদিন ৫ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাত পর্যন্ত গণনা করে দেখা গেছে সংখ্যাটি ছিল ৫,০২,১৮৩। আর কোউইন পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই পর্যন্ত রাজ্যে দুটি ডোজ প্রাপকের সংখ্যা ১,০১,২২,১৪০।
যোগানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে যে দ্রুত অবাধ টিকাদান সম্ভব তার প্রমাণ গতদিনই মিলেছে। এক স্বাস্থ্য শিবিরের আধিকারিকের মতে দৈনিক ৪-৫ লক্ষ টিকাদানের জন্য তারা প্রস্তুত। সরকারি ক্ষেত্রে ২৫৬১টি এবং বেসরকারি কেন্দ্রে ২৭২টি টিকাকেন্দ্র অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে মোট ২৮৩৩ টি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়।
করোনার তৃতীয় ঢেউ যাতে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হবার আশঙ্কা আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে, তা সামাল দিতে চিকিৎসা পরিকাঠামোর দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, শহরের পাশাপাশি জেলা স্তরেও বেড সংখ্যা বাড়ানো ও ক্রিটিক্যাল ইউনিটে পরিষেবা উন্নত করা হচ্ছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ১৫৫০টি, পেডিয়াট্রিক ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ৫২৮টি, নিউনেটাল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ২৭০টি মিলিয়ে মোট ২৩৪৮টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে সঙ্কটজনক রোগীর জন্য। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে বানানো হয়েছে বিশেষ দল। গ্রাম্য এলাকায় আশাকর্মীদের দ্বারা সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চলছে।