মাস তিনেক আগেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জামাইয়ের দাবি ছিল একটি মোটরবাইকের। শ্বশুর রাজিও ছিলেন জামাইয়ের সেই দাবি পূরণ করতে, কিন্তু আর্থিক দুরবস্থার কারণে এখনও পর্যন্ত দিতে পারেননি। আর সেই আক্রোশে গুণধর জামাই যে এমন কাণ্ড করে বসবে, কে তা জানত!
ঘটনাটি নদিয়ার করিমপুরের থানারপাড়া এলাকার। সূত্রের খবর, মোটরবাইক না পেয়ে নিজের বছর ছয়েকের শ্যালককে মুখে শিঙাড়া ঠুসে শ্বাসরোধ করে খুনের উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধৃত অভিযুক্তের নাম সোহেল শেখ। মাস তিনেক আগে বিহারের পূর্ণিয়ার একজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে একটি মোটরবাইক দাবি করছিল সোহেল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোহেলের সেই দাবি পূরণ করতে পারেননি। আর সেই আক্রোশে নিজের বছর ছয়েকের শ্যালককে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? সূত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন আগে সোহেলের শ্যালক দিল ইসলাম তাদের বাড়িতে আসে। মোটরবাইক না পাওয়ায় এমনিতেই নাকি পরিবারে অশান্তির শেষ ছিল না। বুধবার নিজের শ্যালককে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। এরপর দোকান থেকে সিঙাড়া কেনে সোহেল। তারপর বাজারের এক কোণে ছোট্ট শ্যালকের মুখে সিঙাড়া ভরে দেয়, যাতে সে আওয়াজ করতে না পারে। এইভাবে শ্বাসরোধ করে নিজের বছর ছয়েকের শ্যালককে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর বাড়ি ফিরে আসে সোহেল। বাড়িতে জানায় শ্যালক সারিয়ে গেছে। অনেক খুঁজেও পায়নি। এরপর বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সে-ও খুঁজতে লেগে যায়। নিজে পয়সা খরচ করে পরের দিন গোটা এলাকায় মাইকিং করে বলেও সূত্রের খবর। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে কিছুই বোঝা যায়নি। তবে বাজারে থাকা একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায়। সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।