বছর শুরুতেই গোটা দেশের কাছে এখন ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। দেশের রাজধানী দিল্লি ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে লকডাউনের ঘোষণা করে দিয়েছে। আসলে গত বৃহস্পতিবার গোটা দেশজুড়ে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যা শেষ ১০৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে দৈনিক পজিটিভিটি রেট একধাক্কায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.২৪ শতাংশ হয়েছে। করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর দ্বিতীয় ঢেউ এবং ওমিক্রণের জোড়া আঘাত নাজেহাল করে তুলেছে দেশবাসীকে। তবে সম্প্রতি সরকারি বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন যে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ খুব একটা সাংঘাতিক নয়। দেশের রাজধানী দিল্লির পরিসংখ্যান বিচার করে ওমিক্রণের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, দেশের রাজধানী দিল্লিতে এখনও অব্দি ওমিক্রণের শিকার হয়েছেন ৩৮২ জন ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ১৩৮ জন রোগী দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের মধ্যে কোনো লক্ষণ আগে থাকতে দেখা যায়নি। এছাড়া ১০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে যেতে পেরেছেন। এই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হলে সর্দি কাশি এবং সেইসাথে শারীরিক দুর্বলতা ছাড়া কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ প্যারাসিটেমল এবং অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ দিয়ে এই রোগ সেরে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, এতে আক্রান্ত হলেও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকছে। তাই সবদিক থেকে বিচার করে এটা বলা যেতেই পারে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর তুলনায় ওমিক্রণ স্ট্রেনের ভয়ংকরতা অনেকটাই কম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন বছরের শুরুতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনার সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ রাজ্যে নাইট কার্ফু এবং বিভিন্ন বাধা-নিষেধ জারি করা হয়েছে। সংক্রমণে গ্রাফ লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মুহুর্মুহু। এছাড়া গোটা বিশ্বের মতোই ভারতেও দেখা মিলছে ওমিক্রণে আক্রান্ত রোগীর। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে যে এই রোগের বিরুদ্ধে সবাইকে ভয় না পেয়ে লড়াই করতে হবে।