পুরুলিয়া শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের এক আবাসন থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ। মুখে বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় ফ্ল্যাটের মেঝে পড়ে ছিল বৃদ্ধের মৃতদেহ। আর বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় খাট থেকে। নিহত দম্পতির মেয়েকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, বৃদ্ধ ক্ষীরোদ সিন্ধু রায় এবং তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায় ঐ আবাসনে দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে শম্পা বিবাহিত। পুরুলিয়া শহরের সদরপাড়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তবে তিনি নিত্য বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে যেতেন বাপেরবাড়ি। ঘটনার দিনেও তিনি সন্ধ্যাবেলা তাঁদের কাছে যান। তাঁদের সাথে দেখা করে যথারীতি নিজের বাড়ি ফিরে যান শম্পা। শনিবার সকালে দম্পতির ফ্ল্যাটে কাজ করতে যান তাঁদের পরিচারিকা। বহুবার কলিং বেল বাজিয়েও কোনও সাড়া না পাওয়ায় তিনি দরজায় ধাক্কা দেন। সামান্য ধাক্কাতেই দরজা খুলে যায়। ঘরের ভিতরে ঢুকে পরিচারিকা দম্পতির মৃতদেহ দেখতে পান।
পরিচারিকার চিৎকারে জড়ো হন আবাসনের বাকি বাসিন্দারা। তাঁরা খবর দেন পুলিশে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে ও বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করা হয়েছে? তবে কে বা কারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে তার জন্য বিশদে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি সম্পত্তির বিবাদে খুনের সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে দম্পতির মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তাঁরা। সেই সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও।