একুশে নির্বাচনের আগে শাসকদলের মোক্ষম দাওয়ায় ছিল দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যবাসী বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবে। তবে এরইমধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা সহ একাধিক জেলা থেকে। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মাধ্যমে চিকিত্সা না পাওয়ার জন্য ঘুরে ঘুরে মৃত্যু হল শিলিগুড়ির এক ব্যক্তির। তার পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভরসায় তারা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে যায়। কিন্তু কোন বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চাইনি। তাই পরে বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ার প্রমোদনগরের বাসিন্দা ছিলেন মহম্মদ গফফার। সে কিছুদিন আগে শারীরিক জটিলতা নিয়ে উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপর ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার পর আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু তাদের কাছে ছিল সপ্তাহ দুই আগের করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে, কোন বেসরকারি হাসপাতাল ওই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে অসুস্থ বৃদ্ধকে নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর মন্ত্রী গৌতম দেব শিলিগুড়ি শহরের নার্সিংহোমের কর্ণধারকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি নার্সিংহোমগুলির সামাজিক দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। যদিও নাসিংহোম মালিকরা পাল্টা একগুচ্ছ দাবি করেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি না মানা হলে তারা চিকিৎসার পরিষেবা দেবে না।