চতুর্থ দফার নির্বাচনে সিআরপিএফের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। একদিকে প্রধানমন্ত্রী বকলমে এই ঘটনার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়েছেন, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার দায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উপর চাপিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, "সিআরপিএফ গুলি চালিয়ে আজ শীতলকুচিতে ৪ জন মানুষকে মেরে দিয়েছে। হোম মিনিস্টারের কথায় যে চক্রান্ত চলছে, আজকে প্রমাণ হয়ে গেছে।" আজকের শীতলকুচির ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ব্যবহার করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। যে কারণে মুখ্যমন্ত্রী আজকের বনগাঁর সভা থেকে অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
শনিবার শীতলকুচির ঘটনায় কার্যত গোটা দেশ বিস্মিত। বাংলার রাজনীতির পালাবদল হলেও সেই হিংসার রাজনীতি বন্ধ হয়নি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিঙ্গলগঞ্জ বাদুড়িয়ার সভায় বলেছেন, "আমি বারবার বলে আসছি কেন্দ্রীয় বাহিনী আমার শত্রু নয়। কিন্তু হোম মিনিস্টারের কথায় যে চক্রান্ত চলছে তা আবার প্রমাণিত হয়ে গেল। সিআরপিএফ ৪ জনকে গুলি করে মেরে ফেলল। সকালেও একজন মারা গেছে। এত ঔদ্ধত্য আসে কোথা থেকে? এত অত্যাচার আসে কোথা থেকে? বিজেপি জানে হেরে গেছে, তাই ভোটারদের গুলি করছে।"
শীতলকুচির ঘটনায় নানা বিষয় উঠে এসেছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ৪ প্রাণের আর ফিরে আসা হল না। তাই মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, "শান্ত থেকে আপনারা ভোট নির্বিঘ্নে পালন করুন। কোন অশান্তির মধ্যে যাবেন না। মনে রাখবেন যারা অশান্তি করে তারা রাক্ষসের দল, আর যারা শান্তি রক্ষা করে তারা মানুষের দল।" মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ এসেছে। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তো চলছেই। কিন্তু যে মায়েদের কোল হারা হল, তারা কি আর ফিরবে? এ প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক একাংশ।