মেদিনীপুরে ঐতিহাসিক সভা এবং তারপর অমিত শাহ বারবার নানাভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে চলেছেন। আর এই আক্রমণের মূল বিষয় তৃণমূলের ‘পরিবারতন্ত্র’। শাহের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য— রাজ্যের উন্নতি এইসব নিয়ে না ভেবে কিভাবে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা যায় সেই নিয়েই বেশি চিন্তিত। পরতে পরতে তিনি পরিবারতন্ত্রকেই পুষ্টি দিয়েছেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পাশাপশি বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত দল’ বিষয়ে কটাক্ষ করছে সেই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “এই রাজ্যে রাজ্যের কোনো ভূমিপুত্রই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবে।” এরপর রাজ্যবাসীর কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি খানিক স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে রাজ্যের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে ঘোষণার পর তৃণমূলের হাতে অস্ত্র কমছে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
তবে ‘পরিবারতন্ত্র’ প্রসঙ্গে খুবই আক্রমণাত্মক মেজাজে পাওয়া গেলো তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কল্যাণ বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ কখনও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নন। মানুষের চাহিদায় উনি মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ এতো পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা হচ্ছে, অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর হঠাৎ কীকরে তার ছেলে বিসিসিআই সেক্রেটারি হয়ে গেলো? আজ একটু অধিকারীতন্ত্র নিয়েও কথা হোক। অধিকারী-রা যে বিশ্বাসযোগ্য নন সেটা তো প্রমাণ হয়ে গেলো।” একইসাথে তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস জেনে তারপর রাজ্যে রাজনীতি করার উপদেশ দেন অমিত শাহকে। ফলে ‘বহিরাগত’ অস্ত্রটি এক্ষুনি ছাড়ছে না জোড়াফুল শিবির।