শিক্ষক এবং বেশ কিছু নিয়োগের দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। জল গড়িয়েছে রীতিমতো আদালত পর্যন্ত। এসবের মাঝে আবার বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে কলেজের অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে হবে লিখিত পরীক্ষা। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবং গ্রন্থগারিক নিয়োগের দায়িত্ব ছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের (CSC) হাতে। তবে এবার থেকে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হতে চলেছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের হাতে।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি হবে সম্পূর্ণ লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। পরীক্ষায় পাস করার পর হবে ইন্টারভিউ এবং তারপরই পাওয়া যাবে চাকরি। কলেজের পরিচালন সমিতি এতদিন অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করত। তবে মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে আর পরিচালন সমিতির হাতে কিছুই থাকবে না। এই পুরো বিষয়টার নিয়ন্ত্রক হবে কলেজ সার্ভিস কমিশন। জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ১০ বছরের পুরনো নির্দেশিকা কার্যকর করে কমিশনের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। তারপর থেকেই কলেজের অধ্যাপক অধ্যক্ষ এবং গ্রন্থগারিক ছাড়াও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব চলে আসবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের হাতে।
কলেজগুলো নিজেরা এতদিন পর্যন্ত শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর কলেজে ক্লার্ক, একাউন্টেন্ট, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন। নিয়োগের বিধি তৈরীর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। নবান্নের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। কর্মী নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে প্যানেল প্রকাশ হবে। উচ্চশিক্ষা দপ্তর ২০১২ সালে কমিশনকে কর্মী দায়িত্ব দিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এতদিন তা কার্যকর হয়নি। স্কুলে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী নিয়োগ নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুরনো নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে এবং কমিশনের মাধ্যমে কলেজের কর্মী নিয়োগ করা হবে।