সবেমাত্র পৃথিবীর আলো দেখেছিল তাঁর সন্তান। কিন্তু সেই সুখ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না সারিনা বিবির। পৃথিবীর আলো দেখার কিছুক্ষনের মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হল সদ্যোজাতকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে।
স্থানীয় সুত্রের খবর, খড়গপুরের পুরাতন বাজারের নিবাসী সারিনা বিবি শনিবার রাত্রে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। রবিবার সকালে তিনি একটি পুত্রসন্তানেরও জন্ম দেন। কিন্তু সাবিনার পুত্রসুখ পুত্রশোকে বদলাতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। জন্মের পরই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সদ্যোজাতর। তখন সেই হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই শিশুটিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। যথারীতি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, যখন শিশুটিকে অক্সিজেন সহ মেদিনিপুরে পাঠানোর আবেদন করেন তাঁরা, তখন তাঁদের আদেবনে কর্ণপাত করেনি হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনের ব্যবস্থাটুকুও তাঁরা করেননি বলেই অভিযোগ সদ্যোজাতর পরিবারের। ফলে ঘটনাস্থলেই প্রান হারায় ঐ সদ্যোজাত।
এই ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় পরিবারের পরিজনদের মধ্যে। সদ্য সন্তানহারা পিতা শেখ জাহাঙ্গির বলেন, কন্যাসন্তানের পর পুত্রসন্তান পেয়ে পরিবার খুবই খুশি ছিল। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাঁদের এই খুশি কেড়ে নিল। পাশাপাশি তিনি দুঃখপ্রকাশ করে এও জানান, কোনও বাবা-মায়ের সাথে যেন এমন ঘটনা কোনোদিনও না ঘটে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলে দাবী করেছেন খড়গপুর মহকুমা হসাপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবী, শিশুটির শারীরিক অবস্থা জন্মের পর থেকেই খুব শোচনীয় ছিল। মেদিনীপুরে রেফার করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তবে মৃতের পরিবারের কোনও অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখবে হাসপাতাল, এমনটাই দাবী করেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।