করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে বহু ক্ষেত্রে জারি নিষেধাজ্ঞা। লকডাউনের পথে গোটা রাজ্য। এদিকে আমফানের ক্ষত না মিটতেই আসছে 'যশ'। যার জেরে চাষ থেকে ঘরবাড়ির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সব দিক বিবেচনা করে লকডাউন শিথিল করে, কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিল রাজ্য। তার মধ্যে মূলত রয়েছে কৃষি ক্ষেত্র ও গ্রামোন্নয়ন।পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যে। ২৫ ও ২৬ মে গোটা রাত নবান্নে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে?
১) বীজ, সার, রাসায়নিক এবং কৃষির কাজের ব্যবহার যন্ত্রপাতি কেনাবেচা-সহ কৃষি, হর্টিকালচার, ফুলচাষ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেই সংক্রান্ত পরিবহন, মজুতের ক্ষেত্রেও মিলবে ছাড়।
২) ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামতির কাজে যাতে সমস্যা না হয়, সেই কারণে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রেও দেওয়া হচ্ছে ছাড়।
উল্লেখ্য, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। পোর্ট ব্লেয়ারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৫৬০ কিলোমিটার, পারাদ্বীপের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ৫৯০ কিলোমিটার এবং দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সেই গভীর নিম্নচাপ। তা আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটি। সেখান থেকে ইয়াস আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হবে।