বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে চালু করবেন 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প। যেখানে সাধারণ মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় ফিরেই এক মাসের মধ্যেই কথা রাখলেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘"মহিলাদের হাত খরচের জন্যই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের মহিলারা পাবেন এক হাজার টাকা করে। তার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।’" যেখানে স্বরাষ্ট্র সচিব এবং অর্থসচিব ছাড়াও রাখা হয়েছে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের প্রধান সচিবকেও।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামীতে সেই প্রকল্প যাতে দ্রুত ফলপ্রসূ হয় সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কর্মসূচির বাস্তব রূপায়ণের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়েও প্রস্তাবটি রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেবে সরকার। তার সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবে মমতা সরকার। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "ছাত্রছাত্রীদের ১০ বছর সময় দেওয়া হবে। চাকরিবাকরি পেয়ে ধীরে ধীরে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ থাকবে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এটা বিশেষ সহায়ক হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এখনও এক মাস পূর্ণ হয়নি নতুন সরকারের। এরমধ্যেই এই বিষয়ে মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। রাজ্য সরকার আর একটি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যৌনকর্মী, রূপান্তরকামী, হকার, রিক্সাওয়ালাদের বাড়ি বাড়ি বরাদ্দ রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভার নেতৃত্বে এই কাজ করা হবে বলে জানা গেছে। তাছাড়া নতুন মন্ত্রিসভায় আড়াই হাজার নতুন কলকাতা পুলিশের নিয়োগেও ছাড়পত্র মিলেছে বলে সূত্রের খবর।