আবারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জয়জয়কার! এবার খড়গপুরের মহকুমা শাসকের তৎপরতায় অতিদ্রুত সমাধান হল এক জরুরি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার। টানাপোড়েনের সংসারে পথ-দুর্ঘটনায় আহত ছেলের চিকিৎসার জন্য চটজলদি আড়াই লাখ টাকা জোগাড় করা মোটেও সহজ ছিল না। মহকুমা শাসক আজমল হোসেনের হস্তক্ষেপে মাত্র দু ঘন্টায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে বিনামূল্যেই শুরু হল চিকিৎসা।
খড়গপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরি গেট এলাকার বাসিন্দা বিবাহবিচ্ছিন্না অন্নু শর্মা থাকেন তার এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে। বিউটি পার্লারে কর্মরতা অন্নু শর্মার অভাবের সংসার। আর এরই মাঝে রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় একটি পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ছেলে রাহুল শর্মা। ততক্ষণাৎ মেদিনীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুধুমাত্র অস্ত্রোপচারের জন্যই ১ লক্ষ আশি হাজার টাকা লাগবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাথে আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা লাগবে। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার দরুন দুয়ারে সরকার প্রকল্প মারফত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করা ছিলনা অন্নু শর্মার। অবশেষে স্থানীয় তৃণমূল সভাপতির দ্বারস্থ হলে তারাই উদ্যোগ নিয়ে খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাজে নিয়ে যান ওনাকে। এরপরই ফর্ম ফিলাপ করে মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে হাতে পান কার্ড। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তিনি বলেন এই বিপুল খরচ করতে অপারগ ছিলেন, তাই জীবন বাঁচালো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। সাথে কৃতজ্ঞতা জানান মহকুমা শাসককে যিনি নিজেও বলেন, এই ঘটনা চাকরি জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে।