গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি নাকি ভুরি ভুরি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একাধিক বার বিরোধী দলের লোকজন গোটা বিষয়টি নিয়ে এর আগে সরব হয়েছেন। এবার খোদ এলাকার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দুর্নীতির অভিযোগ করলেন। বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
ঘটনাটি নন্দীগ্রাম (Nandigram) এলাকার। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই পঞ্চায়েতের প্রধান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সামসুল ইসলাম। তিনি নাকি ব্যাঙ্কে লাভজনক পদে চাকরি করেন, পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাব-মার্সিবল পাম্প না বসিয়ে কাজ সমাপ্তির বোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার, এলাকার সরকারি জমির গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার।
তাঁর দুর্নীতির কথা দলের উচ্চ নেতৃত্বদের জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলছেন স্থানীয় লোকজন। বাধ্য হয়ে সেই পঞ্চায়েতের ৩ সদস্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসনকে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসন হলদিয়া মহকুমাশাসকের কাছে রিপোর্ট পেশ করেন। তাতে সেই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। খোদ বিডিও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গ্রেফতারের পর থেকেই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পঞ্চায়েত প্রধান সামসুল ইসলামের অনুগামীরা রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এদিকে যে তিনজন অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সূত্রের খবর।