বাইক কিনে লোনের কিস্তি মেটাতে গিয়েছিলেন যুবক। আর ফিরে আসেননি। কয়েক ঘন্টা পর সেই বাইকের শোরুম থেকে উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। শোরুম কর্তৃপক্ষের দাবি, যুবক আত্মহত্যা করেছে। যদিও পরিবারের দাবি, শোরুমের লোকজন তাঁদের ছেলেকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনাটি নৈহাটি (Naihati) এলাকার। এখানেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে এম এস বাজাজ (MS Bajaj) শোরুম থেকে বারাসতের (Barasat) জাগুলিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবক গত দিন ২০ আগে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার একটি বাইক কিনেছিলেন। সূত্রের খবর, লোনের কিস্তি বাবদ তিনি নাকি একটি ৪৫ হাজার টাকার চেক দিয়েছিলেন। কোন কারণে সেই চেক নাকি বাউন্স হয়ে যায়। তাই শোরুম কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে পাঠান। কথা বলতে এবং লোনের টাকা দিতেই তাঁদের ছেলে শোরুমে গিয়েছিল, এমনটাই দাবি পরিবারের তরফে। কিন্তু শোরুমের ভেতর এমন ঘটনা ঘটবে কে তা জানত!
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? সাদ্দামের বন্ধুদের দাবি, তাঁকে শোরুমের ভেতর খুব মারধর করা হয়েছিল। সাদ্দাম নাকি ফোন করে তাঁর বন্ধুদের যেখান থেকে পারুক টাকা আনতে বলেছিল। পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির ছেলেকে শোরুম থেকে ফোন করে ডাকা হয়েছিল। আর সাদ্দাম টাকা নিয়েই শোরুমে গিয়েছিলেন। তাহলে এই ঘটনার কারণ কী? পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে মেরে এইভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাদ্দাম কোনভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না।
ঠিক কী হয়েছিল শোরুম কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই শোরুম কর্তৃপক্ষের মুখে কুলুপ। শোরুমের ভেতর এমন রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। সাদ্দাম বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর পুলিশ গিয়ে শোরুম থেকে সাদ্দাম হোসেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।