শনিবার চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচি (Sitalkuchi) বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকির ১ নম্বর বুথের কেন্দ্রীয় বাহিনীদের গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। উত্তেজনা চরমে, যদিও পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “নিজেদের আত্মরক্ষা করতেই গিয়ে গুলি চালায় পুলিশ।" মৃতদের নাম হামিদুল হক, মনিরুল হক, সামিউল মিঞা, আমজাদ হোসেন। তবে এই চারজন ছাড়াও শনিবার সকালেই পাঠানটুলি এলাকায় প্রথমবার ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরানোর পরেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিতে মৃ্ত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে নবীন ভোটারের।
তবে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের মাথাভাঙা ফাঁড়ি এলাকায় চার জনের মৃত্যুকে ঘিরেই তোলপার সর্বত্র। তার মাঝে ফিকে হয়েছে আনন্দ বর্মনের মৃত্যু। আর এই প্রসঙ্গকেই হাতিয়ার করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই নিয়েই অমিত শাহের তোপ, "চার সংখ্যালঘু যুবকের প্রাণহানি নিয়ে ঠিক যতটা সরব তৃণমূল নেত্রী, ততটাই উদাসীন আনন্দ বর্মন অর্থাৎ এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যুতে।" একই অভিযোগ আনন্দের পরিবারের। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ আরও বলেন, শীতলকুচির ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ, তিনিই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের জন্য জনতাকে উসকানি দিয়েছিলেন, যার বহিঃপ্রকাশ শীতলকুচির জোড়পাটকির ঘটনা।
ওদিকে অমিত শাহের সুরেই দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, "বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।" এদিকে ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে, শীতলকুচি যাওয়ার কথা থাকলেও, মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও ভিডিও কলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে মৃতদের পরিবারের।