ময়নাগুড়ির বিশেষভাবে সক্ষম ধর্ষিতা নাবালিকার জীবন শেষ হয়েছে সোমবার। সেদিন নির্যাতিতার বাবা শোকবিহ্বল অবস্থায় দাবি করছিলেন, সিবিআই না আসা পর্যন্ত মেয়ের মরদেহ সরাতে দেবেন না তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপর নাকি একফোঁটা ভরসা নেই তাঁর। এই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ৩৬০° ঘুরে যায় তার মত। সম্প্রতি তার বয়ান ভিডিও মারফত ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পুলিশি তদন্তেই খু্শি তিনি। কোনো সিবিআই তদন্ত চান না। আর এরপরেই উঠছে প্রশ্ন, তবে কি চাপের মুখে পড়ে ভোলবদল ঘটল?
প্রসঙ্গত, গতকাল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায় বিষেষভাবে সক্ষম এক নাবালিকাকে ধর্ষনের অভিযোগের অভিযুক্ত স্থানীয় যুবককে আদালতে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়িতে নাবালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই যুবক। তার হাত পা মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটিকে ছল করে বাড়ি থেকে ৬০-৭০ মিটার দূরের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই দরজা জানলা বন্ধ করে ধর্ষণ করা হয় তাকে।
এরপর তাকে জানালা ভেঙে উদ্ধার করেন পড়শিরা। এই ঘটনার ভিত্তিতে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার মা। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ১৩ এপ্রিল তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে শাসিয়ে আসেন মুখ বাঁধা দুস্কৃতির দল। এরপরের দিনই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সেই নাবালিকা। টানা ১১ দিনের লড়াই শেষে সোমবার মারা যায় সে।