জীবনতলা অঞ্চলের কুড়িয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে মঙ্গলবার পুলিশের হাতে রুদ্ধশ্বাস বন্দুকবাজির পর ধরা পড়ে হুগলীর কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল কুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামে কয়েকদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল বিশাল ও তাঁর দুই শাগরেদ। এ দিন কুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা বিশাল ও তাঁর সহযোগী দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেললে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে বিশাল। এরপর পুলিশ এসে অবশেষে তাঁদের পাকড়াও করে। উদ্ধার হয় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র।
কিছুদিন আগে, ১৮ অক্টোবর, হুগলির চুঁচুড়ায় বিষ্ণু মাল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃসংশভাবে খুন করে বিশাল। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন। এলাকার এক কিশোরীর সাথে বিষ্ণুর সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই তাঁকে খুনের ছক কষে বিশাল। এরপর বিষ্ণুকে বাড়ির সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বিশাল। পুলিশকে এই অপহরণের কথা জানায় ওই কিশোরীই। এরপর দশমীর রাতে হুগলির বৈদ্যবাটীর এক খালপাড় থেকে বিষ্ণুর প্যাকেটবন্দী কাটা হাত এবং পা উদ্ধার হয়, যদিও মাথা এবং ধড়ের হদিশ এখনও মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকা দাপিয়ে বেড়ানো কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাসের গ্রেপ্তার নিঃসন্দেহে কলকাতা পুলিশের এক বড় সাফল্য।