একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি (TMC vs BJP) উভয়পক্ষ নির্বাচনী লড়াইয়ের আগে প্রচারের ময়দানে ঝড় তুলেছিল। রাজ্যের প্রতিটি জেলার কোনায় কোনায় তাঁরা জনসমাবেশ করে একে অপরের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছিলেন। তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মহিলা ভোটব্যাঙ্ক জয়ের উদ্দেশ্যে একাধিক স্লোগান তুলেছিল। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তৃণমূল স্লোগান দিয়েছিল, "বাংলা নিজের মেয়েকে চাই"। এছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ও মাসিক ৫০০ টাকা অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছিল। আর ঘাসফুল শিবিরের এই মহিলাপ্রীতি ভোট যুদ্ধে তাদের জয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের ভোটদানে মহিলাদের আধিক্যের পরিসংখ্যান রীতিমত অবাক করে দিয়েছে সকলকে। মমতার মহিলা ভোট টার্গেট করে নির্বাচনী প্রচার করা যে মাস্টারপ্ল্যান তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন মহিলা ও পুরুষ ভোটারদের হার প্রকাশ করেছে। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী শতাংশের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে মহিলা ভোটাররা। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে মোট মহিলা ভোটারদের ৮১.৭ শতাংশ ভোটদানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে ৮১.৪ শতাংশ পুরুষ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৩.৫ কোটি মহিলা ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ২.৯ কোটি। ৩ কোটি ৭০ লক্ষ পুরুষ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৩ কোটি। অর্থাৎ মোট ভোটের বিচারে মহিলা এবং পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান। এছাড়া পুরুষ প্রার্থীর চেয়ে মহিলা প্রার্থী বেশি জয়লাভ করেছেন। এমন পরিসংখ্যান যে বিরল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।