একদিকে করোনা কাঁটা, অপরদিকে নির্বাচন সবমিলিয়ে ত্রস্ত বাংলা। করোনার বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। এমন অবস্থায় যাবতীয় করোনা বিধি মেনে বাকি চার দফার নির্বাচন করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়। রোজদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন অবস্থায় বিজেপির 'হেভিওয়েট' কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার কার্যত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে বলে সূত্রের খবর। অন্য নেতাদের কথা বাদ দিয়ে কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আরো ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ সভা করার কথা রয়েছে। তার মধ্যে ৫ দফার দিন ২ টি বড় জনসমাবেশ রয়েছে। এমন অবস্থায় করোনার বাড়বাড়ন্তে সেইসব জনসভাগুলি কতটা কার্যকরী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ।
গত একদিনে সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। রাজ্যের অবস্থা ভয়াবহ। একদিনে প্রায় ৬ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে নানা মহলে বিতর্কে ঝড় উঠেছে। আবার নির্বাচন কমিশন আগামীকাল দুপুর ২ টোয় ১০ টি দলের সঙ্গে আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়ার আশু কর্তব্য বিষয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে। তৃণমূলের তরফে জানা গেছে, তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে শেষ ৩ দফার নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা সে বিষয়ে প্রস্তাব রাখতে চলেছে। অন্যদিকে রাজ্যের বামদলগুলো তরফে বড় নির্বাচনী সভা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এ অবস্থায় কোভিড বিধি মেনে প্রধানমন্ত্রীর সভা করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের কাছে।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, "আপাতত শনিবারে যে ২ টি সমাবেশ রয়েছে, তার আয়োজনে আমার সতর্ক রয়েছি। সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে, সমাবেশে আসা মানুষেরা সকলেই যেন মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরা পরে আসবেন না, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হবে।" কিন্তু কেবল মাস্ক দিয়ে এত বড় জনসমাবেশে করোনা আটকানো সম্ভব কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক একাংশ।