যাবতীয় জল্পনাকে একেবারে নস্যাৎ করে দিয়ে সরাসরি অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) এর সমর্থনে প্রচার করতে নেমে পড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রথমেই তার মুখে শোনা গেল 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি। তারপরে নিজের স্টাইলে প্রচার করতে শুরু করলেন সকলের প্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী ওরফে মিঠুনদা। মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, "আমি অগ্নির সভায় আসতে পারিনি, কিন্তু কথা দিচ্ছি খুব শিগগিরই আসবো।" আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন অগ্নিমিত্রা পাল এর সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর সভা করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ হওয়ায় সেই সভা থেকে পিছিয়ে যান মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অষ্টম দফা নির্বাচনের পরে কেন অগ্নিমিত্রা পাল এর সমর্থনে সভা করলেন মিঠুন চক্রবর্তী?
এই সভা থেকে মিঠুন চক্রবর্তী ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন, যদি অগ্নিমিত্রা পাল নির্বাচনে জেতেন তাহলে তাঁর সমর্থনে আনন্দ উদযাপন করতে আসবেন মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অগ্নিমিত্রা পালের মত শিক্ষিত এবং ভদ্র বিধায়ককে কদর করেন। অগ্নিমিত্রা সকলের দুঃখ-দুর্দশা বুঝবেন এবং তিনি বিজেপির কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়তে সাহায্য করবেন। তিনি জানিয়েছেন, "মাঝে কিছুটা সময় আমার খুব খারাপ গেছে। সেই সময়টা অগ্নি নিয়মিত আমার খবর নিয়েছে। ও আমায় সব সময় ফোন করেছে। ও আমার সব সময়কার বোন। আমার স্ত্রী যোগিতা ওকে প্রায় সময় ফোন করতো।"
তিনি আরো যুক্তি দিলেন, যিনি মুম্বাইয়ে থাকা দাদার এতবার খোঁজ নিতে পারেন তিনি আসানসোলের মানুষদের আরও ভালো করবেন। তাছাড়াও মিঠুনদা জানিয়ে দিলেন অগ্নিমিত্রা পাল জিতলে আসানসোলে কি কি ভালো করবেন। মহাগুরু বললেন, অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তী আশ্বাস পেয়েছেন এবার বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলার চেহারা একেবারে পাল্টে যাবে। সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বেড শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে, কমানো হবে বিদ্যুতের বিল, মহিলাদের জন্য বাস সার্ভিস হবে একেবারে ফ্রী। তার সাথেই বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মহিলাদের শিক্ষার সমস্ত খরচ বহন করবে বিজেপি সরকার। তার পাশাপাশি বিজেপির বিভিন্ন 'জনদরদী' প্রকল্পের কথা তুলে ধরলেন 'জাত গোখরো' মিঠুন চক্রবর্তী।