বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। বছরের অধিকাংশ সময় ঘরে থাকেন না। মাকেও ধরতে হয়েছে সংসারের হাল। মাঠে-ঘাটে কাজে চলে যেতে হয়। অধিকাংশ সময় ঘরে থাকে বৃদ্ধা ঠাকুমা এবং এক বছর দশেকের নাবালিকা। মা কাজে যাওয়ার আগে বলে যান বাড়িতে মিস্ত্রি আসবে ফ্যান ঠিক করতে। মেয়েটি যেন মিস্ত্রিকে ফ্যানটি দেখায়। কিন্তু পরিণামে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে কে তা জানত!
বাড়িতে ফ্যান সারাতে এসে এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এবারের ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। অভিযোগ, বাড়িতে একা পেয়ে অভিযুক্ত কিশোর ধর্ষণ করেছে সেই নাবালিকাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় নাবালিকা বর্তমানে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় লোকজন সেই অভিযুক্ত কিশোরের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? মা কাজে গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে নিজের মেয়েকে বলে গিয়েছিলেন পাড়ার একজন আসবে ফ্যান সারাই করতে। বাড়িতে তখন বয়স্কা ঠাকুমা এবং সেই নাবালিকা। পড়শি এক কিশোর ফ্যান সারাতে আছে। নাবালিকা বাথরুমে যায়, সেই সুযোগে অভিযুক্ত কিশোর বাথরুমে গিয়ে জোরপূর্বক সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মুখ খুলতে বারণ করে।এরপর মা বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পান নাবালিকার রক্তক্ষরণের ঘটনা। গোটা বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার। রাতেই নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজ্যে রোজ ঘটে চলেছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। হাঁসখালি থেকে কাকদ্বীপ, বোলপুর থেকে মালদা সর্বত্র ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দময়ন্তী সেনকে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে। সব মিলিয়ে ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
