হাঁসখালির (Hanskhali Rape Case) ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Hanskhali Minor Assault) এবং তারপর মৃত্যু শংসাপত্র ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কার্যত মুখ পুড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার। তার উপর আমজনতার বাড়তি ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে হাঁসখালির ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। এবার কিছুটা বাড়তি চাপ দিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে এক দলীয় কর্মসূচিতে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তোপ দাগেন, "হাঁসখালির ঘটনায় লজ্জায় মুখ ঢাকছে আমাদের। এটা যদি শুধু দুষ্কৃতীদের কাজ হত, আলাদা বিষয় ছিল। সরকার যখন ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা করে তখন এটা বুঝে নিতে হয় এটা সরকারিভাবে স্পনসর্ড। সরকারিভাবে ধর্ষণকে স্পনসর করছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এটা শুধু হাঁসখালিতে নয়, হাঁসখালি একটি নাম মাত্র, গোটা রাজ্যে প্রায় প্রত্যেকদিন।"
উল্লেখ্য, হাঁসখালি ইস্যু নিয়ে ১১ এপ্রিল একটি মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, "হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন? ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই কার্যত বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয় কটাক্ষের হিড়িক। এবার সরাসরি মীনাক্ষির অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী নিজে সরকারিভাবে ধর্ষণকে স্পনসর করছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, "সারা রাজ্যেই নির্বাচনে মানুষ বামফ্রন্টের উপর আস্থা রাখছে। আমরাও আমাদের আস্থার জায়গাকে মানুষের ভরসা জায়গায় পৌঁছাতে পারছি। এরই ফলস্বরূপ বালিগঞ্জের নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে বামফ্রন্ট। শুধুমাত্র বালিগঞ্জ নয়। শান্তিপুর, তাহেরপুরও রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে বালিগঞ্জ আমাদের কাছে সবথেকে বড় সাফল্য।"