রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা (Covid-19) সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে শহর কলকাতার (Kolkata) সংক্রমণ বৃদ্ধি মাত্রাছাড়া। কলকাতা লাগোয়া জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সংক্রমণ রুখতে এবার বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। তবে টানা বাজার বন্ধ নয়, ধাপে ধাপে বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করল প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার সমস্ত বাজার আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই জেলার প্রশাসন।এমনকী আগামী সপ্তাহেও ঠিক একই দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাজার বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এমনিতেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর এলাকাগুলি অত্যন্ত জনবহুল। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে কাজের জন্য ছুটে যান। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আসেন। এলাকার ঘিঞ্জি পরিবেশ এবং অত্যধিক জনবহুল পরিবেশে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। ঘটেছেও তাই। সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর এলাকায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক, ধরপাকড় করার পরেও মানুষের সচেতনতার অভাব। এখনও রাস্তাঘাটে মাস্ক ছাড়া মানুষ বেরোচ্ছেন। সোনারপুর থানার পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। তা-ও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। এমন পরিস্থিতিতে পরপর দু'দিন বাজার বন্ধ রেখে কিছুটা সংক্রমণ রুখতে চাইছে প্রশাসন। জরুরি পরিষেবায় যুক্ত দোকান ছাড়া অন্য কোন দোকান খোলা থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে প্রশাসন।
গতকাল বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে এই নির্দেশিকা জানানো হয়েছে। সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম নিজে উপস্থিত থেকে মানুষকে সচেতন করেছেন। সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার, ঘাসিয়াড়া বাজার, অন্যদিকে রাজপুর এলাকা, নরেন্দ্রপুরের কালীবাজার, নরেন্দ্রপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার সবই আজ এবং কাল বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের একই দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাজার বন্ধ থাকবে। কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক এলাকায় করোনার মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ ধরা পড়ছে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে গত তিনদিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ১৬ জনের বেশি সংক্রমিত হয়েছে। গোটা জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭৬৩ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন অবস্থায় জনবহুল এলাকায় এইভাবে পরপর ২ দিন বাজার, দোকান বন্ধ রেখে কিছুটা সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগী প্রশাসন।