কোভিড আবহে (Covid-19) ভার্চুয়াল মাধ্যমেই এবার তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ তর্পণ (Ekushey July)। প্রতিবারের মতো বড় সভামঞ্চ তৈরি করে রাজ্য তথা দেশের বড় বড় নেতৃত্বদের সামনে রেখে ২১ জুলাইয়ে শহিদ স্মরণ সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও তৃণমূল সভানেত্রী এই উদযাপনের কোন খামতি রাখতে চাননি। আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রতিটি বুথে অন্তত ৫০ জন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পালন করতে হবে শহিদ দিবস। রাজ্য জুড়ে অন্তত ৫০ লক্ষ কর্মী সমর্থকদের এই শহিদ তর্পণে অংশ নিতে হবে। পাশাপাশি দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বড় জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে মমতার (Mamata Bandyopadhyay) ভাষণ। মোদীর গুজরাটে বসানো হয়েছে হয়েছে এই ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ুতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শোনানো হবে দিদির ভাষণ।
রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই শহিদ তর্পণ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকালে এই টুইট বার্তায় বলেছেন, "১৯৯৩ সালে আজকের দিনে যে ১৩ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। আজ দুপুর ২ টোর সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাব। ভাই-বোনদের কাছে অনুরোধ আজকের এই ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিন। এই অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদ আমরা জারি রাখব।" এই মুহূর্তে কেন্দ্রের প্রধান বিরোধীমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। ২০২৪-র আগে সব ধরণের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই নিজের রাজ্যের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও চলবে দিদির ভার্চুয়াল ভাষণ। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজকের দিনের জন্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
অন্যদিকে ২১ জুলাই নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "আজকের এই দিনটা আমাদের জন্য ― ১৯৯৩ সালের ১৩ জন কংগ্রেস শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তাঁদের বিদেহী আত্মাকে প্রণাম জানাই।" এখানেই নেটাগরিকদের মধ্যে চলছে রাজনৈতিক তরজা। অনেকেই বলছেন, "মারল সিপিএম, মরল কংগ্রেস, পালন করছে তৃণমূল।" অনেকের মতে, "এ তো জগাখিচুড়ির মতো অবস্থা।" সব মিলিয়ে ২১ জুলাই নিয়ে তরজা তো আছেই, তার মধ্যে আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল ভাষণের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। চলছে জোর জল্পনা। সকলের চোখ থাকবে দুপুর ২ টোয় দিদির ভাষণে।