বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ও প্রার্থীতালিকা ইতিমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে, শুরু হয়ে গেছে দেওয়াল লিখনও। কিন্তু এখনো চলছে নানাবিধ কারণে দলবদলের খেলা। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর টিকিট না পেয়ে দিকে দিকে ছড়িয়েছে অসন্তোষ। এবার তার আঁচ মতুয়াদের ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতেও! দলের অহ্বায়ক ধ্যানেশ গুহ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়লেন। তার অভিযোগ, গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস একজন সোনা পাচারকারী। মুম্বাই সহ নানা জায়গা থেকে কত পরিমাণ সোনা পাচার করেছেন তার হিসাব ও সাংবাদিকদের দেন। এমনকি প্রার্থী হবার পর ধ্যানেশবাবুর বাড়িতে নরোত্তমবাবু আশীর্বাদ নিতে গেলে তাকে ঘরেই ঢুকতে দেননি বিক্ষুব্ধ ধ্যানেশবাবু। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মমতাবালা ঠাকুর ধ্যানেশবাবুকেই সমর্থন করে বলেন, "ঠাকুরবাড়ির প্রতিপক্ষকে টিকিট দেওয়া দলের উচিত হয়নি। ধ্যানেশদা প্রার্থী সম্পর্কে যা বলেছেন তা সত্য। কাগজই কথা বলছে। এর থেকে বেশি কিছু বলবো না। আমি দলকে বলেছিলাম আমি স্বরূপনগর থেকে লড়তে চাই। কিন্তু পরে দেখি দল কোনও মতুয়াকেই টিকিট দেয়নি। তাই নিজেও ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিই।"
তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় শিলিগুড়ির প্রার্থী হিসেবে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে দেখেই অসন্তুষ্ট শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর নান্টু পাল এদিন মমতার শিলিগুড়ির সিলিন্ডার মিছিল চলাকালীনই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি স্পষ্ট জানান, স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার কথা বলেছিলেন যে অনুরোধ রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। যিনি নিজেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতেন তাকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া যায়না। নান্টুবাবু নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে পছন্দমতো আসন না পাওয়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন মালদহের জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি সরলা মুর্মু। তিনি মালদার প্রার্থী হতে চেয়ে দলকে বারবার জানালেও দল তাকে হবিবপুরের প্রার্থী করেন যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই শেষমেশ গন্তব্য গেরুয়া শিবির।