দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণকালে নন্দীগ্রামের বয়াল যখন অশান্তির প্রাণকেন্দ্র, তখনই রাজ্যের অন্য আরেক প্রান্ত অর্থাৎ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জয়নগরের সভায় বক্তৃতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃতীয় দফায় ভোটের প্রচারে এসে জয়নগরের সভা থেকে বারংবার আক্রমণ শানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে তিনি এবং গোটা বাংলায় বিজেপির কাছে পরাস্ত হতে চলেছে তৃণমূল, এমনই আশাবাদী মোদী। সভাস্থল থেকেই 'দিদি' সুরে টান দিয়ে ব্যঙ্গের সুরে প্রশ্ন করেন দ্বিতীয় আসন থেকে লড়াই করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর এই কটাক্ষের রেশ টেনেই টুইটারে সরব হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২০২৪ এর নির্বাচনে মোদীকে সুরক্ষিত একটি আসন খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
টুইটারে কী লিখলেন মহুয়া? তিনি মোদীর উক্তিকেই তুলে ধরে সরাসরি মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, "দ্বিতীয় আসন থেকে লড়াই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হ্যাঁ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) লড়বেন। আর সেই আসনটি হবে বারাণসী। তাই নিজের বর্ম পরে নিন।" তবে এই বক্তব্য আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা বা হলেও কীভাবে হবে, সেসব স্পষ্ট নয়। মোদীর বিরুদ্ধে বরাণসীতে দাঁড়ানো হেভিওয়েট প্রার্থীকে তৃণমূলের সমর্থন থাকবে নাকি মমতা স্বয়ং ওই আসনে দাঁড়াবেন তারও কোনো খবর নেই তৃণমূল সূত্রে। বরং তৃণমূলের দাবি নন্দীগ্রাম আসন থেকে জিতছেন মমতা, তাই অন্য আসন থেকে লড়ার কোনো প্রশ্নই নেই। মোদী এসব বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বারাণসী আসনে গত দুবারই লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন নরেন্দ্র মোদী। ওই আসনে সত্যিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়বেন কিনা, প্রশ্ন রয়েই গেল।