দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দোরগোড়ায় নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পাঠ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। কেউই যে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়তে নারাজ, তা সোমবারের জনসভায় স্পষ্ট হল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত। এদিন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে অধিকারী পরিবারের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, "এদের বিশ্বাস করেছিলাম। মন্ত্রী করেছিলাম। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছিলাম। ওর ভাইকে কাঁথি মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান করেছিলাম। ওর বাবাকে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছিলাম। আর ওরা এখন বলছে আমি নাকি বহিরাগত? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নাকি বহিরাগত? আমি ভুল করেছিলাম।"
একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামের অলিতে গলিতে হুইল চেয়ারে রালি করছেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা গেল, "আমি স্থানীয় ছেলে এখানেই থাকব, যাঁরা উড়ে এসেছেন, উড়ে চলে যাবেন।" এদিন শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরও বলেন, "মাননীয়া আগে অজন্তার চটি পরতেন, আর এখন? আগে চারশো টাকা দামের শান্তিপুরের শাড়ি পরতেন, আর এখন? আর শুভেন্দু অধিকারী বদলায়নি। আগে যা ছিল, এখনও তাই আছে।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরচকে হুইল চেয়ারে রালি করেন। এই বিষয়কেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। উল্লেখ্য, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন নন্দীগ্রামে পুলিশ গুলি চালায়নি, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে পুলিশের পোষাক পরে গুলি চালিয়েছিল। একই কথা আজকের সভায়ও মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যায়। আজকেও তাঁর গলায় শোনা যায় "আগে আমাকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেওয়া হত না।" প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা বক্তব্য ১০ বছরে নন্দীগ্রামের মানুষের সুখেদুঃখে কে পাশে থাকে?
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে নন্দীগ্রামের মাটি যথেষ্ট উত্তপ্ত, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত।