নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ উত্তীর্ণ হতেই আজ শীতল করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকাল ১০ টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যাচ্ছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে পাশেই তৈরি করা হয়েছে শহীদ মঞ্চ। যেখানে ৫ জন শহীদের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে সেই মঞ্চ। নিহত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এই মঞ্চে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা করার কথা। উল্লেখ্য, চতুর্থ দফা নির্বাচনে সিআরপিএফের গুলিতে ৪ টি তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ৭২ ঘন্টা সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। সেই মেয়াদ আজ উত্তীর্ণ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে খবর।
এদিকে, এই কাণ্ডে নিহত ১৮ বছরের তরতাজা যুবক আনন্দ বর্মণের পরিবারের লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন না বলে জানিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, আনন্দ বর্মণের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন না। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআরপিএফের গুলিতে নিহত ৪ জন পরিবারের লোকজনের সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি আনন্দ বর্মণের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন এবং সাহায্য করার কথা বলেছিলেন। যদিও আনন্দ বর্মণের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব নাকচ করেছে বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী না এলে ভালো করতেন। এতে এলাকায় অশান্তি হতে পারে। এই ঘটনার পর শীতলকুচি অশান্ত হয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আসলে সেই অশান্তি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন।
এদিকে শীতলকুচি কাণ্ডে নয়া মোড়। দু'দিন আগেই নির্বাচন কমিশন সিআইএসএফ এর কাছ থেকে তদন্তের প্রকৃত ব্যাখ্যা চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর সিআইএসএফ এই ঘটনার আলাদা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার জন্য দিল্লি থেকে পৃথক টিম আসছে। তবে তাঁরা শীতলকুচি গিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর, ওই দিন ঘটনাস্থলে যে সিআরপিএফ জওয়ানরা ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে খবর। শীতলকুচি ঘটনার পর এই নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল যে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার কারণে তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। যদিও সিআরপিএফ জওয়ানরা সেরকম কোন ভিডিও ফুটেজ দিতে পারেনি। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। আর তাতেই চাপ বাড়তে থাকে নির্বাচন কমিশন এবং সিআইএসএফ কর্তাদের কাছে।