দেশের করোনার সঙ্কটজনক পরিস্থিতি এবং অক্সিজেন ঘাটতির জন্য কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুর্গাপুর থেকে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এমন অভিযোগ করেছেন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক আজ থেকে কোন রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে কোন জনসভা কিংবা রোড শো করতে পারবেন না। বিশেষ শর্তে অনধিক ৫০০ জনের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল সভা করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী কমিশনের নির্দেশ মতো আজ দুর্গাপুর থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে এমন সভা করেন। মুখ্যমন্ত্রী এই সভায় স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র সরকারের গাফিলতি দায়ী। তিনি বলেছেন, "গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন করোনা চলে গেছে। তার অর্থ এঁদের কাছে আইবি কিংবা কোন এক্সপার্টের রিপোর্ট ছিল না।" এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছর থেকে বিভিন্ন দেশে অক্সিজেনের উপযুক্ত যোগানের বিষয়ে বলে আসছে, অথচ কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। দেশে অক্সিজেন ঘাটতি, কোন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ মোদী সরকার সব ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, "কেন্দ্র সরকার বাংলাকে ভাতে মারতে চাইছে, পাতে মারতে চাইছে।" আমাদের রাজ্যের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "আমি কোভিডকে অস্বীকার করছি না, কিন্তু কমিশন চাইলে ভোটের দফা কমাতে পারত। আসলে বিজেপিকে খুশি করতে কমিশন এসব করছে।" নির্বাচনের কারণে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ বাইরের মানুষ এসেছেন। প্রায় ২ লক্ষ সেনা রয়েছে। কারোরই RT-PCR করা হয়নি। এর ফলেও করোনা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুরের এই ম ভার্চুয়াল সভায় অযথা আতঙ্কিত না হয়ে মানুষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।