মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের খতিয়ান তুলে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে বসে চক্রান্ত করে ভোট লুট করতে পারেন। শনিবার কংগ্রেস নেতা কেবল অভিযোগ করে থেমে থাকেননি, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন বলে খবর।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেছেন, "তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে রাত্রি যাপন করে ভোট লুঠের চক্রান্ত করবেন। তিনি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেবেন। তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকে ভোট লুঠের নির্দেশ দেবেন।" গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা স্মরণ করে নির্বাচন কমিশনকে কংগ্রেস নেতা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে ভোট লুঠের পরিকল্পনা করতে পারেন। সরকারি আধিকারিকদের সহায়তায় এবং নম্বর কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী কে কাজে লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা ফলপ্রসূ করতে পারেন। কমিশনের কাছে তিনি আরও আবেদন করেছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেদিকে কমিশনকে নজর রাখতে হবে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচন কমিশন যেন তৎক্ষণাৎ এই ব্যবস্থার সুরাহা করতে পারেন, সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
শনিবার বহরমপুর এর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিক বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমন কথা বলেছেন বলে খবর। সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "‘আমি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ থেকে শুরু করে যাদের যেখানে ভোট আছে, সব জায়গায় সবাইকে অ্যালার্ট করব, এখন থেকে সতর্কতা নিতে হবে একদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, অন্যদিকে ইলেকশন কমিশনের লোকেরা বিজেপির হয়ে যাতে ভোট করতে না পারে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যদি কাউকে বেআইনিভাবে আটকে রাখে পুলিশ, তাহলে তাঁর ছেলে-মেয়েরা রাতের বেলা থানায় গিয়ে বসে থাকবেন, থানা ঘেরাও করবেন এবং বলবেন বেআইনিভাবে আটক কেন করা হয়েছে, ব্যাখ্যা দাও এবং দরকার হলে কোর্টের কাছেও যেতে হবে।" মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমন আশঙ্কা করেছেন বলে সূত্রের খবর।