গোটা বাংলা তাকিয়ে ছিল সোমবার ৭ই ডিসেম্বরের এই হাইভোল্টেজ সভার দিকে কারণ রাজ্য রাজনীতিতে বহু প্রশ্নচিহ্নের মুখে বসে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর অঞ্চলে "দাদার অনুগামীদের" ডেরায় ছিল 'দিদি'র এই সভা। বিরোধীদের দিকে নানান ইঙ্গিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাও প্রত্যক্ষ করলো বঙ্গবাসী।

'বহিরাগত'দের দিয়ে বাংলা শাসন করা যাবেনা এবং বিজেপি সহ সিপিএম, কংগ্রেসরাও যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে এমনও গর্জন দলনেত্রীর গলায়। ধান ও শাকসবজি নিয়ে মঞ্চে হাজির হয়ে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করে একহাত নিলেন কেন্দ্রকে। বিজেপির 'বেসরকারিকরন' ও রাজ্যকে টাকা না দেওয়ার অভিযোগে হুঙ্কার দেন এবং 'বিজেপির বন্ধু'দের কার্যত "আগুন নিয়ে খেলবেন না" বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। খরচের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "আমরা উন্নয়ন করছি, অথচ ওরা টাকা না দিয়েই হিসাব চাইছে।" বাংলাকে গুজরাট বানানোর প্রসঙ্গেও প্রতিবাদের অগ্নিবাণ বর্ষালেন তিনি।
এদিন ছত্রধর মাহাতো উপস্থিত ছিলেন সভায় এবং জননেত্রীর মতে তাকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এদিন অধিকারী পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না এই সভায় এবং শুভেন্দুকে নিয়েও কোনো বাক্যব্যয় করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।