আশঙ্কামত সকাল থেকে আস্ফালন দেখিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas Cyclone)। সকাল ৯ টা নাগাদ বালেশ্বরে লান্ডফল ঘটলেও এই ঝড়ের প্রভাব দেখা গিয়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলেগুলিতে। সকাল থেকেই উত্তাল হয়েছে দীঘা (Digha) এবং সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার সমুদ্র। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রাত থেকে নবান্ন কন্ট্রোল রুমে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জেলাস্তরে নির্দেশ পাঠিয়ে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। জানা গিয়েছে মোট ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫০৬ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও এক কোটি মানুষ এই ঝড়ের কবলে পড়েন। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ মানুষের বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে শিবিরেরগুলিতে ১০ লাখ ত্রিপল পাঠানো হয়েছে এবং সেইসাথে চাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
এদিন দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "এক ব্যক্তি মাছের জন্য জাল ফেলতে গিয়েছিলেন। জলে ডুবে গিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালি, পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, নামখানা, ক্যানিং ১–২, বজবজ, দিঘা, শংকরপুর তাজপুর, রামনগর, কাঁথি, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা, দেশপ্রাণ, কোলাঘাট, শ্যামপুর, কালীঘাট, চেতলা রাসবিহারী–সহ গঙ্গার সামনের বহু এলাকা জলে প্লাবিত হয়েছে।" সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, "আগামী শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করতে যাবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।"