গত ২৫ জুলাই নয়াদিল্লি সফরে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাঁচদিন পর আজ শুক্রবার কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে ফের বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বললেন, “গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লড়াই চলবে। তাই প্রতি দু’মাস অন্তর নয়াদিল্লি আসব।"
এদিন দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগেই, সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "দেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। আর তাই একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে নয়াদিল্লিতে দেখা হয়েছে এবং কথা হয়েছে। কোভিড নিয়মের জন্য সংসদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারিনি। তাই অনেকের সঙ্গে দেখা হল না। দেশবাসীর অবস্থা খুব খারাপ। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।"
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
প্রসঙ্গত, এবারের দিল্লি সফরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ বহু নেতা-নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই সফরে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা হয়নি তৃণমূলনেত্রীর। আশা করে হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে সেই আশা বাস্তবে রূপ না পেলেও কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েই এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "এবার ওঁদের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়নি। ওঁরা কেউ তো যোগাযোগ করেননি। তবে যখন বাংলায় গিয়েছিলেন তখন কথা হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের পাশেই আছি আমি।" পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। তাঁকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।"