একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) এবার বিজেপিকে (BJP) হারিয়ে বড় মার্জিনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কিন্তু নির্বাচনের আগে দলে দলে তৃণমূলের নেতারা বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করেছিলেন। আসলে নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রচারের রমরমা দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন যে এবার হয়তো বাংলায় ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শিবির এবং তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু খেলা ঘুরে গেল ভোটের ফলে। বাংলার মানুষ ফের পছন্দ করল বাংলার মেয়ে মমতা সরকারকে। আর তৃণমূল কংগ্রেস বড় মার্জিনে জিতে তৃতীয়বারের মতো বাংলার মসনদে বসল। তবে সম্প্রতি নতুন ট্রেন্ড সৃষ্টি হয়েছে যা হল ঘর ওয়াপসি। দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে যারা বিজেপিতে গিয়ে যোগদান করেছিলেন তারাই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শরণাপন্ন হতে চাইছেন। এই ঘর ওয়াপসি করার তালিকায় রয়েছেন সোনালী গুহ, সরলা মুর্মু ও দিপেন্দু বিশ্বাসের মত প্রাক্তন প্রথম সারির নেতারা।
এই বিষয়ে আজ অর্থাৎ শনিবার দলত্যাগী নেতাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে তৃণমূল কংগ্রেস একটি মেগা বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষ হতেই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "দলে যাঁরা ফিরতে চাইছেন সে ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত ৬ মাস কতজন ফিরতে চান তার তালিকা তৈরী হবে। তারপর কেন ফিরতে চাইছেন সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। বিজেপিতে ওই দলত্যাগী নেতা নেত্রী কোন পদে ছিলেন বা সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান বা নির্বাচনে জয়-পরাজয় বা দুর্নীতির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে। তারপর তৃণমূলে পদ দেওয়ার কথা ভাবা হবে।"
অন্যদিকে একই সুরে কথা বলেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, "এটা দলের ব্যাপার। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা আমাদের সবাইকে মানতে হবে। যারা দলে ফেরার জন্য আবেদন করছেন তাঁদের ক্ষমা ঘেন্না করে দিলে ভালো হয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। আজকে গেলাম কালকে ফিরে এলাম এমন হবে না। এটা তো আর মন্দির নয় যে যখন খুশি এসে ঘন্টা বাজিয়ে যাব। যারা ভুল করেছে বা যারা এই বিষয়ে অনুতপ্ত তাদের নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দেওয়া হবে।"