যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প 'কন্যাশ্রী প্রকল্প'। পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া কন্যাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রকল্পের জুড়ি মেলা ভার। মিলেছে আন্তর্জাতিক সম্মান। এই প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্য বারবার রাজ্যকে যোগ্য সম্মান এনে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষের বেশি কন্যা সন্তানদের এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করা হয়। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসংঘ কন্যাশ্রী প্রকল্পকে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত করে।"
২০১৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপায়ণ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যাতে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কোনও পরিবার ১৮ বছর বয়সের আগে তাঁদের মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা না করেন। এই প্রকল্পের আওতায় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের বার্ষিক ১ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। ছাত্রীর বয়স ১৮ হলে, তখন এককালীন ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে স্কচ স্মার্ট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পায় কন্যাশ্রী প্রকল্প। এরপর ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর আয়োজিত ‘গার্ল সামিট’-এ সেরা নির্বাচিত হয় কন্যাশ্রী ৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষ কন্যাসন্তান এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
কন্যাশ্রী দিবস পালিত হল ডামডিমের গজেন্দ্র বিদ্যামন্দির উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী রবিবার কন্যাশ্রী দিবস পালন করার কথা থাকলেও আগামীকাল ছুটির দিন বলে শনিবারই বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদের নিয়ে দিনটি পালন করা হয়। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির মেয়েদের নিয়ে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করার পাশাপাশি এদিনই আবার বিদ্যালয়ের ইন্ডোর কোর্টে ইন্টার স্কুল ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।