অবশেষে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুটো নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছে বিধায়ক পদে শপথ নিলেন তিনি। প্রথা ভেঙে এবারে তাকে বিধায়ক হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সুব্রত বক্সী, মুকুল রায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেকেই এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে আমরা কোনো বিরোধী দলের প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে দেখলাম না। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের রাজভবনের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর বিধায়কদের বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এটাই কিন্তু এতদিন পর্যন্ত চলে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রথমবার নিয়ম ভাঙলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিধানসভার সচিবালয়কে তিনি নিজে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এলে, তিনি নিজেই তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেইমতো বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আরো দুই জন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেনকেও শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন তিনি। তারপরে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ঘরে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সমস্ত সাংসদদের। তবে, বিরোধী শিবিরের কাউকে আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল না। উল্লেখ্য, ভবানীপুরের উপ নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়লাভের পরেই দলের অন্দরে ৭ অক্টোবর শপথগ্রহণের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিধানসভা এবং রাজভবনের মধ্যে এই নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন তিনি নাকি প্রথা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। সেই নিয়েই বিধানসভা এবং রাজ্যপালের মধ্যে কিছুটা বাদানুবাদ হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ টানাপোড়েন হওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত রফাসূত্র মেলে। অবশেষে প্রথা ভেঙে রাজ্যপাল শপথ বাক্য পাঠ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।