বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরমে উঠছে। তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ বাংলায় এসে শাসকদল ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তুলোধোনা করেছেন। অবশ্য তার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ ধর্মীয় সংগঠনের সম্মেলন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। জনোনেত্রী প্রথমে নাম না নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তারপর তার বক্তৃতা ধরে ধরে তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আজকে তিনি এসেছেন। আমাদের এখানে আসুন। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এখানে এসে তিনি যে কথাগুলো বলে গেলেন তাতে তার শারীরিক ভঙ্গি বা ভাষার কদর্যতা বা দৈত্যপরায়ন মনোভাব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি যেন দুরন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধমক দিতে রাজ্যে এসেছেন।"

আজ কোচবিহার সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের পর দিদির মুখেও জয় শ্রীরাম শোনা যাবে।" তার পাল্টা জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "দিদি গলা কেটে দেবে! তাও আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।" এছাড়াও আজ শাহ ফের দিদি ভাতিজা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "খালি বুয়া ভাতিজা? আপনার ছেলে কি করে? কি করে এত টাকা এল তার কাছে?" এখানে মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহের কথা বলেছে।
এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেছেন, "ফুচকা খাওয়ার ক্ষমতা নেই, ফুলকো লুচি খাবে!" তারপরই মুখ্যমন্ত্রী গেরুয়া শিবিরকে খেলায় আহ্বান করে বলেছেন, "হোক না একটা খেলা। রাজনীতির খেলা। গণতন্ত্রের খেলা। দেখা যাক কে জেতে কে হারে। আপনারা থাকবেন। সাথে সিপিএম ও কংগ্রেসকে আপনাদের দিয়ে দিলাম। উল্টোদিকে থাকবো আমি। গোলরক্ষক আমি। দেখি কটা গোল দিতে পারেন। খেলা অত সহজ নয়।" এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী জনতাকে হাতজোড় করে আবেদন জানিয়েছেন যাতে তারা বিজেপিকে না ক্ষমতায় আনে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "ওরা এলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আপনারা সেই সর্বনাশ হতে দেবেন না।"