রবিবার দোলযাত্রার দিনে বাংলাকে রঙিন করার স্বপ্ন নিয়ে একের পর এক জায়গায় দৌড়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে তার গন্তব্য চন্ডিপুর। চন্ডিপুরে মমতা এসে বললেন, "আগামী ২ মে বাংলায় আরেকটা দোলযাত্রা হবে। সব জায়গায় সবুজে ছেয়ে যাবে। খেলাটা মা বোনের উপরে ছেড়ে দিন। পুরো জায়গা আবিরে সবুজ করে দেওয়া হবে।" এলিন সভা থেকে শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী কে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "নন্দীগ্রাম তো চন্ডিপুর দিয়ে যেতে হয়। জমি আন্দোলনের সময় আমাকে এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। আর যারা বড় বড় কথা বলছে তাদেরকে আমরা সেদিন পাইনি। মীরজাফর, গদ্দাররা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। এমনি ভোটে জেতার ক্ষমতা নেই তাই বাপ-ছেলে ভোট লুট করছে। জ্যাঠার ছেলে টাকা দিয়েছে সেদিন, ধরা পড়েছে। গ্রেফতার করেনি যদিও।"
এছাড়া ঐদিন কার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগলেন, "জলঢোঁড়া ভেবে কেউটে পুষেছিলাম। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে বাপ, বেটা ছিল না। বাপ-বেটার অনুমতি ছাড়া পুলিশে নন্দীগ্রাম ঢুকতে পারত না আগে। সবকিছু জেনে আমি দাঁড়িয়েছি নন্দীগ্রামে। জানতাম না এরা কেউটে আর গোখরো বেরোবে। এত বড় ক্রিমিনাল কান্ড করে জানতাম না। মনে রাখবেন আমার চোখ আছে। আমি বড় বড় গদ্দার এবং মীরজাফর পুষেছি এখানে। সবাই ভাবছে বিজেপির দালালি করে সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে। মনে রাখবেন, বিজেপির হাতে স্টেনগান জনগণ সাবধান।"
পাশাপাশি অমিত শাহ কে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "আপনি প্রথম দফার ভোটে ৩০টা আসনের মধ্যে ২৬টি পাবেন বলে দাবি করেছেন। মানুষ এর জবাব দেবে, আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন পড়বে না। কালকে একটা ভোট হয়েছে। ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি বলুন কটা আসন পাবেন? আমি কি ভোটের মেশিন এর মধ্যে ঢুকে যাব? আমি কি করে জানব কটা আসন পাব? আন্দাজে বলতে পারি, সমস্ত মা-বোনেরা, শ্রমিক-কৃষকের আমার হয়ে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির এক নেতা বলেছেন তারা ২৬ টি আসন পাচ্ছেন। তাহলে বাকি চারটি রাখেন কেন? সিপিএম কংগ্রেসের জন্য? বলে দিন একেবারে ৩০ এ ৩০ হবে।"