বগটুইকান্ডের অ্যাটেনশন কেড়ে এবার চর্চায় হাঁসখালি। এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি দেহ পুড়িয়ে দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত নেতার ছেলে। আর এপ্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। বললেন, "আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, নাকি লাভ অ্যাফেয়ার বলবেন...না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে... আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী? ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল হাঁসখালির তৃণমূল পঞ্চায়েত নেতার ছেলের জন্মদিনে রেপড হয় ওই নাবালিকা। ওই রাতেই রক্তক্ষরণ ও যৌনাঙ্গের তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা যায় সে। এবং তৎক্ষনাৎ তার দেহ শ্মশানে গিয়ে দাহ করে দেয় অভিযুক্ত যুবকবৃন্দ। নির্যাতিতার পরিবার সুত্রে খবর, অভিযুক্তর মা বাবা খুনের হুমকি দিয়েছিল ঘটনাটি গোপন রাখার। তবে ১০ তারিখ সাহস সঞ্চয় করে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। সেইমতো অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে রানাঘাট আদালতে তোলা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে হাঁসখালির ঘটনা তুলে মাননীয়া ডিজির কাছে প্রশ্ন করেন, "মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?" তিনি আরও বলেন, "মেয়েটির লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। বাড়ির লোকেরা সেটা জানত। প্রতিবেশীরাও সেটা জানত। এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে, সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, যে লাভ জিহাদ প্রোগ্রাম করব।"
অভিযুক্তর সঙ্গে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এবিষয়ে কি বলবেন প্রশ্ন তোলা হলে মাননীয়ার সাফাই, "কী করবেন বলুন, এখানে সবাই তৃণমূল দল করেন। তাই তৃণমূলকে টানবার কী দরকার! পশ্চিমবঙ্গে সবাই তৃণমূলে। বাবা যদি তৃণমূল করে...ছেলে প্রেম করেছে না কী করেছে, তাতে তৃণমূলকে টানা কেন?" অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এবিষয়ে জানান, "হাঁসখালির ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।"