আজ, বুধবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকটি জেলার হালহকিকত খতিয়ে দেখলেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা। মমতা বলেন, "পুলিশ-প্রশাসনিক আধিকারিকদের বেশি করে ফিল্ড ভিজিট করতে হবে। সামনে ইদ আসছে। এই সময় সাম্প্রদায়িক দলগুলি নানারকম কাণ্ড-কারখানা করে। এখন আবার সিপিএমও যোগ হয়েছে। এ এক সম্প্রদায়কে নিয়ে করছে, ও আর এক সম্প্রদায়কে নিয়ে করছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে।"
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘর থেকে প্রতিটি জেলার মুখপাত্র ও এসপিদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় উঠে এল পশ্চিম বর্ধমানের জলসমস্যার কথা। গোটা গ্রীষ্মকাল ৩০০ ট্যাংক মজুত রাখার নির্দেশ পড়ে মেয়র ববি হাকিমের দায়িত্বে। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের মিষ্টিহাব নিয়েও তদারকি করেন মাননীয়া। বীরভূমের সংবেদনশীল রামপুরহাট বগটুই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, "বিরোধীরা অভিযোগ করছে ঘুস দিতে চাকরী পেয়েছে নিহতর পরিবার। আমি নিজের কোটা থেকে চাকরি দিয়েছি, মানবিকতার খাতিরে। ঘুষ দিতে হলে লুকিয়ে দিতাম। আমাদের মানবিক হতে হবে।"
এছাড়া বঙ্গের প্রচণ্ড দাবদাহ নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাচ্চাদের গরমে সমস্যা হচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছে। অনেক বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। ২ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দাও।" শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষাসচিবকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কতদিন চলবে ছুটি, তা এখনও ঘোষণা হয়নি।
কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ প্রত্যেকটি জেলার পুলিশ সুপারদের তিনি উপদেশ দেন নারী সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন পুলিশি টহল জোরদার করতে। এদিন মমতা আরও বলেন, বাংলার গনতন্ত্র এখনও সুস্থ আছে বলেই অভিযোগ জমা পড়ে আজও। নয়তো উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানে তো অভিযোগই পড়ে না। আর এটা কোনো রাজ্যের পক্ষে অসুস্থতার লক্ষণ।