রাজ্য (West Bengal) জুড়ে এখন ভোটের (Vote) আবহ। আগামী ১৯ তারিখে কলকাতায় (Kolkata) পুরভোট। বাকি জেলাগুলিতেও পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কয়েক মাসের মধ্যেই। তাই ভোট পূর্ববর্তী প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee, CM) বিভিন্ন জেলায় প্রচারকার্য চালাচ্ছেন জোরকদমে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)-কে কড়া বার্তা দিলেন। কিন্তু কেন?
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নদীয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন। তিনি এখানে এসে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনিক সভা করেন। এই সভায় তৃণমূলের সাধারণ সমর্থকরাও ছিলেন। এইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে একজোট হয়ে পুরোভোটের প্রস্তুতির কথা বলেন। এমনকি তিনি স্হানীয় মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সেই সমস্যা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দেন সকলকে। এই সভাতেই তিনি তৃণমূলের জনপ্রিয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কড়া নির্দেশ প্রদান করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন "মহুয়া তোমাকে স্পষ্টভাবে বলছি, কে কার পক্ষে, কে কার বিপক্ষে জানার দরকার নেই। ইচ্ছে হলেই সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লোক পাঠালাম। তা ডিজিটাল ও পেপারে পাঠালাম। ইউটিউবে পাঠিয়ে দিলাম। এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে, চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন থাকবে সেটাও মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচন যখন হবে কে প্রার্থী হবেন, তা দল ঠিক করবে। কিন্তু সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মতানৈক্য একেবারেই ঠিক নয়।"
আসলে কয়েকদিন আগে একটি সরকারী প্রকল্পকে কেন্দ্র করে সমস্যা সৃষ্টি হয় কৃষ্ণনগরে। ঘর দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত সৃষ্টি হয় এই সমস্যা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পোস্ট অফিস মোড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহাকে কটুক্তি করা হয় প্রকাশ্যে। এমনকি সম্পূর্ণ বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। তাই আজ,বৃহস্পতিবার সভাতে এসে জয়ন্ত সাহার সঙ্গে কথা বলার সময় পরোক্ষভাবে উক্ত ঘটনার নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই কারণেই মহুয়া মৈত্রকে কড়া কথা শুনিয়ে দেন তিনি। তবে সব শেষে সকলকে একসাথে কাজ করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।