দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনায় কার্যত সাড়া পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ২ ঘন্টা বুথ কেন্দ্রে ধর্ণায় বসেছিলেন। আর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের মধ্যেই তৃণমূল বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। নির্বাচন বিশ্লেষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন কোথায় ১৪৪ ধারা, কিংবা কোথায় নির্বাচনী বিধিনিষেধ। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল তৃতীয় দফার নির্বাচনে।
তৃতীয় দফা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলাম মুখ্যমন্ত্রীর পথেই হাঁটলেন। বুথকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পেরে ধর্ণায় বসে পড়লেন। মঙ্গলবার সকালে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার নেত্রা হাই স্কুলের ঘটনা। সূত্রের খবর, সকাল থেকেই এই বুথ কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফ এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছিল না। সেই ঘটনা পর্যবেক্ষণে আসেন আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলাম। কিন্তু তাঁর অভিযোগ তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দেন। তিনি তৎক্ষণাৎ বুথ কেন্দ্রের বাইরে ধর্ণায় বসে যান। তাঁর অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বুথে ২ ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে পারেন, তাহলে আমি কেন পারব না? আমাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যতক্ষণ না এর বিহিত হয়, ততক্ষণ এভাবেই বসে থাকব।'' এই ঘটনার পর সেখানে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তাঁর সঙ্গে মইদুলের বচসা হয় বলেও অভিযোগ। মইদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেছেন, "গতকাল থেকেই আমাদের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এখন বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না। আজ যখন আমি বিভিন্ন বুথ ঘুরতে ঘুরতে এই কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছি, তখন আমাকেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ, তাঁরাই আমাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে আঙুল উঁচিয়ে তাড়া করছে। এসব কী? আমি প্রার্থী হিসেবে অপমানিত বোধ করছি।"
উল্লেখ্য ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের বয়াল ২ অঞ্চলের ৭ নম্বর বুথকেন্দ্রে একই ভাবে প্রায় ২ ঘণ্টা বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২ ঘণ্টা ধরেই তৃণমূল এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাহলে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলামও কি একই পথে গেলেন? প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক একাংশ।