২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেই একেবারে দ্বিগুণ জোর নিয়ে প্রচারে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা আগেই জানা ছিল, নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরেই তিনি একেবারে পুরোদমে প্রচারে ঝড় তুলতে চলেছেন। যেমন কথা তেমন কাজ। রাত্রি ৮টা নাগাদ বারাসাতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা করলেন মমতা। রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ বারাসাতে চিরঞ্জিতের হয়ে গলা ফাটাতে গিয়ে মমতা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা রোজ এসে সভা করে যাচ্ছেন, আর আমার বেলায় যতো নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও এই ঘটনার পরে এবারে নির্বাচনের সব ভার সাধারণ মানুষের ওপরেই ছাড়লেন মমতা।
এই ভোকাল টনিক পেয়ে কার্যত আবারো চাঙ্গা দলীয় নেতৃত্ব। টানা ১ দিন কোনো প্রচার নেই। তারপরেই সভা করে বিজেপিকে একেবারে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন মমতা। তিনি বললেন, "তোমাদের টাকা আছে, দালাল আছে। তা সত্ত্বেও তোমরা হারবে। কেন জানো? কারণ, আমি স্ট্রিট ফাইটার। আমি বরাবর লড়াইয়ে থাকি। আমাকে আঘাত করে লাভ নেই, আমি প্রত্যাঘাত করি।" পাশাপাশি, স্বামী বিবেকানন্দের এক ব্রিটিশ বন্ধুর গল্প উল্লেখ করে মোদিকে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, ভালো নেতা না হলে লড়াই জেতা যায়না। সঙ্গেই মোদীর 'মিহিদানা' আক্রমণের জবাব দিলেন তিনি 'ল্যাংচা' দিয়ে। মোদি বলেছিলেন, "দিদি আপনার কি মিহিদানা পছন্দ না? তাহলে আপনার কোনো মিষ্টতা নেই কেনো?" তার জবাবে এদিন মমতা বললেন, "বর্ধমানের ল্যাংচা খেয়েছেন কখনও? ল্যাংচা খাননি বলই তো ল্যাংচাতে হচ্ছে। জানেন, কীভাবে মিহিদানা তৈরি হয়?" তার সাথেই প্রত্যেক ভোটের দিনে মোদীর সভার প্রসঙ্গ তুলে নির্বাচন কমিশনকে ঠুকলেন মমতা। তিনি বললেন, "প্রত্যেক ভোটের দিন সভা করতে আসছেন। দরকার হলে, কমিশন যদি বলে, আমি ওই দিন সভা করব না।"