বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি, চার পুরনিগমে নির্বাচনী গণনা শেষের পথে। রেজাল্ট প্রায় হাতের সামনেই। আরও একবারের জন্য বিপুল বহুমত নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর এর মাঝেই দলের সকল নেতা-কর্মী, সর্বোপরি চার পুরনিগমের সাধারণ মানুষদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘আরও একবার মা-মাটি-মানুষের অপ্রতিরোধ্য বিজয়। পুরসভা নির্বাচনে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের উপর বিশ্বাস রাখার জন্য আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের মানুষজনকে আন্তরিক অভিনন্দন’। তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা আরও উদ্যমের সাথে উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মা-মাটি-মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ’।
উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরসভা কেন্দ্রে ৪১ আসনের মধ্যে ৩৯ আসনেই জয়লাভ করেছে /এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সেখানে বাম-বিজেপি আসনশূন্য। একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস (congress)। অন্যান্যরা পেয়েছে একটি আসন। চন্দননগরেও ৩৩ আসনের মধ্যে ৩১ টিতেই জয় পেয়েছে/এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে ফলাফলে সামান্য হলেও ভালো অবস্থান বিজেপির। শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ ওয়ার্ড আসনের ৩৭ টিতে জয়লাভ করেছে/এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে সেখানে ৫ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপিও (BJP)। ৪টিতে জিতেছে বাম (CP)। একটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে আসানসোল পুরসভা কেন্দ্রের ১০৬ আসনের ৮০টিতে এগিয়ে রয়েছে/জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ৪ টিতে এগিয়ে রয়েছে/জয়লাভ করেছে বিজেপি। বাম জিতেছে/এগিয়ে রয়েছে ২ টি আসনে। কংগ্রেসের দখলে ৩ টি আসন। সবমিলিয়ে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল।
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘোষণা করেছেন, শিলিগুড়ি পুরসভার পরবর্তী মেয়র হবেন গৌতম দেব। আজকেই উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়ি যাবেন তিনি। বাকি পুরসভাগুলির মেয়র-সহ অন্যান্য কার্যকর্তাদের নাম দল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।