ভারতীয় জনতা পার্টির জয় শ্রীরাম মন্তব্য নিয়ে বর্তমানে বিস্তর জলঘোলা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিছুদিন আগেই কোচবিহারের জনসভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন জয় শ্রীরাম শুনলে রেগে যান? তিনি বলেছিলেন, "বাংলায় এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছেন মমতা দিদি যেখানে জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ! তাহলে জয় শ্রীরাম কোথায় বলবে পাকিস্থানে? জয় শ্রীরামে আপনি কেন এত অপমানিত বোধ করেন?" এদিন সেই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে বলেন, "আমরা জয় সিয়ারাম বলি মানে সীতা ও রাম।" পাশাপাশি বিজেপির জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে ধার্মিক নয় বরং রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বললেন, "আমরা জয় সিয়ারাম বলি। যার অর্থ সীতা এবং রাম। ওরা অপপ্রচার চালায়। আর আমাদের মিডিয়া সেটাই দেখায়।"
শুধু তাই নয়, এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো অমিত শাহের ২০০ এর বেশি আসন জয়ের চ্যালেঞ্জকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করলেন, "তৃণমূল ২২১ এর বেশি আসন পাবে।" শুধু এটুকুই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নন্দীগ্রাম থেকে অমিত শাহকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন এইবার। এই খবর সামনে আসার পরেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেও প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন অমিত শাহ।
অমিত বলেছিলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির থেকে ভয় পেয়ে গিয়েছেন। এই কারণে তিনি জানাচ্ছেন একসাথে দুটি আসন থেকে। কোচবিহারের পর উত্তর ২৪ পরগনা ঠাকুরনগর থেকে তিনি একই বার্তা দেন মমতাকে। তখনই অমিত শাহ কে তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা। মমতা বললেন, "ক্ষমতা থাকলে নন্দীগ্রামে আমার বিরুদ্ধে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন উনি।" পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে তিনি আলাদা করে দেখছেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন। মমতা বলেছেন, "আলাদা কিছু নয়। যারে লড়াই করার সাহস আছে, সে কখনো ভয় পায় না। আমি স্ট্রীটফাইটার। প্রতিদিন রাস্তায় নেমে লড়াই করি। নির্বাচন একটা রুটিন ব্যাপার।"