একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বড় ব্যবধানে বিজেপিকে (BJP) পরাজিত করে বাংলার মসনদে বসেছেন। তৃণমূলের জয়ের পিছনে মেরুদন্ড ছিল মমতার "দুয়ারে সরকার" (Duare Sarkar) প্রকল্প। এই প্রকল্পে উপকৃত হয়ে অনেক মানুষ মমতা সরকারের ওপর ভরসা দেখিয়ে বাংলার মেয়েকে ভোটদান করেছিলেন। নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেস জিতে গেলে আবার হবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। কথা রেখেছেন তিনি। প্রতিশ্রুতিমত ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের, "দুয়ারে সরকার" প্রকল্প হওয়ার কথা আছে। কিন্তু প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন শিবিরগুলোতে উপচে পড়া ভিড় চোখে আসছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই জমায়েত করছেন বহু মানুষ। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আজ নবান্ন থেকে "দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকি প্রয়োজন হলে ক্যাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মাত্র ৩ দিনে ৪৬ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তবে আমজনতার উদ্দেশ্যে জানাচ্ছি যে হুড়োহুড়ি করার দরকার নেই। অনেক দিন বাকি রয়েছে। তাই ধীরেসুস্থে আবেদন করুন সকলে। সবাই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রয়োজন হলে ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এমনকি শেষে দিনসংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।" সেইসাথে মুখ্যমন্ত্রী প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন সাধারণ মানুষকে।
এছাড়াও নবান্ন বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে বাংলার অন্তত ২০০ জন মানুষ আফগানিস্থানে আটকে রয়েছেন। বিশেষ করে তরাই, দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর মানুষ তারা। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী চিঠি লিখেছেন বিদেশমন্ত্রকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "সরকারের উচিত আটকে থাকা মানুষদের ফিরিয়ে আনা এবং থাকার সুব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। সবাইকে সুরক্ষিতভাবে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে এটি অনেক বড় সমস্যা। সবার আগে ভারতীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।" তালিবানি প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেছেন, "বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমার মনে হয় এই সময় বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুলে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতির ওপর নজর দেওয়া উচিত। আপাতত আমাদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে। যা করতে হবে ভারত সরকার নিশ্চয়ই করবে।"