করোনা (Corona) প্যানডেমিকের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশের একাধিক রাজ্য লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে। রাজ্যের সংক্রমণ হার কমানোর জন্য একই পথ বাছতে বাধ্য হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি গত ১৬ মে রাজ্যে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। আর বিধি-নিষেধের ফল পেয়েছে বাংলা। ২ সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৭ হাজার হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বিধি-নিষেধ চলবে। তবে আজ অর্থাৎ সোমবার নবান্ন বৈঠকে বিধি-নিষেধে কিছ ছাড়ের ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মুখ্যমন্ত্রী আজ নবান্ন থেকে জানিয়েছেন, "বর্তমানে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত দোকান বাজার খোলা থাকে। বেলা ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা থাকে। মিষ্টির দোকান খোলার নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। এই পরিস্থিতিতে খুচরো দোকান খোলার ক্ষেত্রে নতুন সময়সীমা জারি করা হল। এবার থেকে বেলা ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত খুচরো দোকান খোলা থাকবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র ১০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে পারবে। নির্মাণকাজ চলবে টিকাকরণ হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে। তবে আগের মতোই যেকোনো গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।"
করোনা বিধিনিষেধের মন্তব্যের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আজ যশ ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত দিঘার প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন যে ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছে বাঙালির পছন্দের পর্যটকস্থান দীঘা। তিনি নবান্ন থেকে বলেছেন, নন্দীগ্রাম খেজুরি কার্যত জলের নিচে ডুবে গেছে। দীঘা মোহনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দিঘার যে সমস্ত পাথরের উপর বসে পর্যটকরা সম্বন্ধে সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখান থেকে পাথর উড়ে গেছে। কংক্রিটের পাথর পোঁতা হয়েছিল। কিন্তু কাজের পদ্ধতি ভুলের জন্য সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন শীঘ্রই অল্প খরচে পরিকল্পনামাফিক কাজ করে দীঘার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "এই ঝড়ে সবথেকে ক্ষতি হয়েছে মৎস্যজীবীদের। ওদের অনেকের বোট হারিয়ে গেছে। ওদের দেখে দিতে হবে।"