করোনা সংক্রমনের মাঝেই যশ (Cyclone Yaas) দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছে রাজ্যের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকা। উপকূলের গ্রামগুলিতে সমুদ্রের জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। সেই সমস্ত গ্রামের মানুষ বর্তমানে সরকারের ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। এর মাঝেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একটি বৈঠক করলেন। তিনি রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানের সাথে কথা বলে পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন। তার মাঝেই জানিয়েছেন যে আগামীকাল তিনি নিজেই সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, সাগর এবং দিঘাতে পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যাবেন। আর এরমাঝে কলাইকুন্ডলাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সাথে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করবেন।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে যশ ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণ দান প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "এবারে যশ ঘূর্ণিঝড়ে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের কাছে সরকার পৌঁছে যাবে। দুয়ারে সরকার মডেলেই হবে দুয়ারে ত্রাণ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে সরকারের পক্ষ থেকে অফিসাররা ক্যাম্প করবেন। সেখানেই সাধারণ মানুষ এসে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাবে। আগামী ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত চলবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প। এই সময় মানুষ তাদের এলাকার দুয়ারে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্বন্ধে ফর্ম ফিলাপ করবে। তারপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সরকার সেই বিষয়ে রেইকি করবে অর্থাৎ আদেও ক্ষতি হয়েছে নাকি তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকারের অফিসাররা। তারপর পয়লা জুলাই থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ত্রাণ প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকে যাতে ত্রাণ পায় তার খেয়াল রাখতে বলেছে মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই যশ ত্রাণের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।"